Bakshigonj Govt Kiamat Ullah College

From WikiAlpha
Jump to: navigation, search

Bakshiganj Govt Kiamat Ullah College.jpg



প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর মহকুমার অন্তর্গত শ্রীবরদী থানার (বর্তমান শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলা) কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর গ্রামের তালুকদার বাড়ির সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব মরহুম কিয়ামত উল্লাহ তালুকদারের নামে কলেজটির নামকরণ করা হয়। মরহুম কিয়ামত উল্লাহ তালুকদারের পুত্রদের দানকৃত জমিতে কলেজটি ০৫ মে, ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়। প্রথমে বকশীগঞ্জ সীমারপাড় (উত্তর) গ্রামে কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। বাজার থেকে অদূরে ও মফস্বল এলাকা হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানে আশানুরূপ শিক্ষার্থী সমাগম না হওয়ায় বছরখানেকের মধ্যে এর স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে বকশীগঞ্জ বাজারের মধ্যবর্তী রাজেন্দ্রগঞ্জ মৌজার দুই একর জায়গার উপর (বর্তমান ক্যাম্পাস) স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়। কলেজটি স্থাপনের পর কিয়ামত উল্লাহ তালুকদারের সন্তানদের আর্থিক অনুদান ও অন্যান্য শিক্ষানুরাগী সুশীল সমাজের দেওয়া আর্থিক সহায়তায় বেসরকারিভাবে পরিচালিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৭ সালের ৩০ জুন তৎকালীন এরশাদ সরকারের আমলে বকশীগঞ্জের কৃতি সন্তান শিক্ষানুরাগী সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী এম.এ সাত্তার মহোদয়ের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ করা হয় এবং তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য আব্দুল জব্বার বিজ্ঞান গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও কলেজ প্রতিষ্ঠায় প্রাক্তন এম.পি.এ. মো: নঈম উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন চীফ ইঞ্জিনিয়ার মো: আব্দুল জব্বার, প্রাক্তন এম.পি.এ এডভোকেট মো: আশরাফ হোসেন এবং শিক্ষানুরাগী মো: হামিদ উদ্দিন সরকার ও পানফুল বিবি বিশেষ অবদান রেখেছেন। কলেজটির প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ছিলেন মো: মমতাজ উদ্দিন নাদির।

কলেজ প্রতিষ্ঠাতাদের নাম: আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন তালুকদার মো: মোফাজ্জল হোসেন তালুকদার মো: ফজলুল করিম তালুকদার মো: আব্দুল কুদ্দুছ তালুকদার মো: হাফিজুর রহমান তালুকদার মো: হেদায়েত উল্লাহ তালুকদার মো: নাজমুল তালুকদার মো: আবুল কাশেম তালুকদার

দাতাদের নাম: এম.এ সাত্তার (সাবেক মন্ত্রী) মো: হামিদ উদ্দিন সরকার পানফুল বিবি

অধ্যক্ষের কথা

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ । ১৯৮৭ সালে কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়। যাত্রাকালে কলেজটিতে প্রফেসর পদমর্যাদার অধ্যক্ষের পদ, ২১টি প্রভাষকের পদ এবং ১টি সহকারী অধ্যাপকের পদ ছিল। এখনও তাই আছে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ছিল ৩১টি বর্তমানে ০৭ জন কর্মরত আছেন। অধ্যক্ষ হিসেবে আমি এই কলেজে যোগ দেই ০৬ জুন ২০২৩ খ্রি.। বর্তমানে প্রভাষক কর্মরত কর্মরত আছেন ১৬ জন । কলেজে উপাধ্যক্ষের কোন পদ নেই। সহযোগী অধ্যাপকের কোন পদ নেই। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের ০১ টি পদ আছে যা বর্তমানে শূন্য । আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে অত্র কলেজটি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। আমরা চাই, অত্র প্রতিষ্ঠানের সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীরা এমনভাবে গড়ে উঠবে যেন তারা এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দায়িত্ব নিজের মধ্যে ধারণ করে। আমাদের প্রত্যাশা, আমাদের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে প্রতিটি স্তরে তাদের মেধা-মননের স্বাক্ষর রাখুক এবং বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির নাম আরো মহিমান্বিত করে তুলুক। এ কাজে আমরা সকলের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করি।

আমরা বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ, জামালপুর এর এই অসম্পূর্ণ ওয়েবসাইটটি বিশ্ব দুনিয়ায় পৌঁছে দেয়ার এই আনন্দঘন মুহূর্তে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞতা জানাই শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তনের কাণ্ডারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে । মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এম.পিকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানাই। অভিনন্দন জানাই মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এম.পিকে। কৃতজ্ঞতা জানাই জামালপুর-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মহোদয়কে। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সম্মানিত সচিব সোলেমান খান। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ শিক্ষা পরিবারের সংশ্লিষ্টদের অভিবাদন জানাই।

প্রফেসর আ.ন.ম. মোফাখখারুল ইসলাম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) অধ্যক্ষ বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ, জামালপুর

মোবাইল: ০১৭১৩৫৬৪২০৯


Editer By Tuhin Sarkar Proti