বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

From WikiAlpha
Jump to: navigation, search

Template:তথ্যছক রাজনৈতিক যুব সংগঠন

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (যা শিবির নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন।[1] এটি ইসলামী দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন। এই দলটির পূর্বতন নাম ছিল পাকিস্তান ছাত্র সংঘ[2] মুসলিম ছাত্র ব্যতীত কেউ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য হতে পারেনা। তবে যে কোনো ধর্ম বা মতবাদের অনুসারী শুধুমাত্র ছাত্ররা এই সংগঠনের সমর্থক হতে পারে।[3][4] তাদের শপথ সঙ্গীত হল “পদ্মা মেঘনা যমুনার তীরে আমরা শিবির গড়েছি / শপথের সঙ্গীন হাতে নিয়ে সকলে নবীজীর রাস্তা ধরেছি”।[3]

ইতিহাস

১৯৭১ এর পূর্বে জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংস্থার নাম ছিল ইসলামী ছাত্রসংঘ। ১৯৭৭ সালে পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তারা "বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির" নামে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭৭ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শিবির প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মীর কাশেম আলী এবং প্রতিষ্ঠাকালীন দলটির সদস্য ছিলো মাত্র ছয় জন। সংগঠনের নীতি অনুসারে এদের কার্যক্রম পাঁচটি দফার উপর প্রতিষ্ঠিত।[5]

কেন্দ্রীয় সভাপতিবৃন্দের তালিকা

ক্রম সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণ দায়িত্ব সমাপ্তি
০১ মীর কাশেম আলী ফেব্রুয়ারী ১৯৭৭ অক্টোবর ১৯৭৮
০২ মুহাম্মদ কামারুজ্জামান অক্টোবর ১৯৭৮ অক্টোবর ১৯৭৯
০৩ মুহাম্মদ আবু তাহের অক্টোবর ১৯৭৯ অক্টোবর ১৯৮১
০৪ মুহাম্মদ এনামুল হক মঞ্জু অক্টোবর ১৯৮১ জানুয়ারী ১৯৮২
০৫ আহমদ আব্দুল কাদের বাচ্চু জানুয়ারী ১৯৮২ মে ১৯৮২
০৬ মুহাম্মদ সাইফুল আলম খান মিলন মে ১৯৮২ অক্টোবর ১৯৮৩
০৭ মুহাম্মদ তাসনিম আলম জানুয়ারী ১৯৮৪ জানুয়ারী ১৯৮৬
০৮ ডা. সৈয়দ আব্দুল্যাহ মোহাম্মদ তাহের জানুয়ারী ১৯৮৬ জানুয়ারী ১৯৮৮
০৯ মুহাম্মদ শামছুল ইসলাম জানুয়ারী ১৯৮৮ জানুয়ারী ১৯৯০
১০ ডা. আমিনুল ইসলাম মুকুল জানুয়ারী ১৯৯০ জানুয়ারী ১৯৯২
১১ আবু জাফর মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ জানুয়ারী ১৯৯২ জানুয়ারী ১৯৯৩
১২ ব্যারিস্টার হামিদ হোসাইন আজাদ জানুয়ারী ১৯৯৩ জানুয়ারী ১৯৯৪
১৩ রফিকুল ইসলাম খাঁন জানুয়ারী ১৯৯৪ জানুয়ারী ১৯৯৬
১৪ মুহাম্মদ শাহজাহান জানুয়ারী ১৯৯৬ জানুয়ারী ১৯৯৮
১৫ মুহাম্মদ মতিউর রহমান আকন্দ জানুয়ারী ১৯৯৮ জানুয়ারী ২০০০
১৬ এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানুয়ারী ২০০০ জানুয়ারী ২০০১
১৭ নুরুল ইসলাম বুলবুল জানুয়ারী ২০০১ জানুয়ারী ২০০৩
১৮ মুজিবুর রহমান মঞ্জু[6] জানুয়ারী ২০০৩ জানুয়ারী ২০০৪
১৯ মুহাম্মদ সেলিম উদ্দীন জানুয়ারী ২০০৪ জানুয়ারী ২০০৬
২০ ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ[7] জানুয়ারী ২০০৬ জানুয়ারী ২০০৮
২১ মো. জাহিদুর রহমান জানুয়ারী ২০০৮ জানুয়ারী ২০০৯
২২ ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিম জানুয়ারী ২০০৯ জানুয়ারী ২০১১
২৩ ডা. ফখরুদ্দীন মানিক জানুয়ারী ২০১১ জানুয়ারী ২০১২
২৪ মুহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন জানুয়ারী ২০১২ জানুয়ারী ২০১৪
২৫ মুহাম্মাদ আব্দুল জাব্বার জানুয়ারী ২০১৪ ডিসেম্বর ২০১৫
২৬ আতিকুর রহমান ডিসেম্বর ২০১৫ ডিসেম্বর ২০১৬
২৭ ইয়াসিন আরাফাত ডিসেম্বর ২০১৬ জানুয়ারী ২০১৯
২৮ ড. মোবারক হোসাইন জানুয়ারী ২০১৯ ডিসেম্বর ২০১৯
২৯ সিরাজুল ইসলাম ডিসেম্বর ২০১৯ ডিসেম্বর ২০২০
৩০ সালাহউদ্দিন আইউবী ডিসেম্বর ২০২০ ডিসেম্বর ২০২১
৩১ হাফেজ রাশেদুল ইসলাম ডিসেম্বর ২০২১ ডিসেম্বর ২০২২
৩২ রাজিবুর রহমান জানুয়ারি ২০২৩ বর্তমান

তহবিল

শিবির সদস্যরা তাদের সংগঠন পরিচালনার অর্থ তাদের কর্মী, সাথী, সদস্য ও শুভাকাঙ্খীদের নিকট থেকে মাসিকভাবে আদায় করে থাকে। তাদের সাংগঠনিক প্রকাশনীর মুনাফা ও যাকাত বায়তুলমালের অন্যতম আয়ের উৎস।[8][9][10] তবে যাকাতের অর্থের হিসাব আলাদা রেখে শরিয়ত নির্ধারিত পন্থায় ব্যয় করা হয়।[11]

সমালোচনা

ছাত্র সংগঠনটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যুদ্ধাপরাদের দায়ে দণ্ডিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের কারণে ব্যাপক নিন্দিত হয়।[12][13][14] ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অধিভুক্ত ন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর স্টাডি অব টেরোরিজম অ্যান্ড রেসপন্স টু টেরোরিজমের তৈরি ফাইলে ছাত্র শিবিরকে একটি ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আরও বলা হয় যে এটির সাথে পৃথিবীর বৃহৎ জঙ্গী সংগঠনসমূহের সম্পর্ক রয়েছে।[15] এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি ছাত্র শিবির নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়।Template:CN

গুমের স্বীকার

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ আনুমানিক ১:০০ টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের আল ফিকহ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আল মুকাদ্দাস (২২) এবং দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ (২৩) সাভার থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল বলে অভিযোগ গুম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং গ্রেপ্তারকারীরা নিজেকে র‍্যাব-৪ এবং ডিবি পুলিশ সদস্য হিসাবে পরিচয় দেয়।[16][17][18]

দু'জনই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্র শিবিরের সদস্য[19] এবং র‍্যাব ও গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এর সদস্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ। তাদের কাছ থেকে আর কিছু শোনা যায় নি এবং তাদের অবস্থান অজানা। র‍্যাব একটি বাংলাদেশি সংবাদপত্রে বিবৃতিতে ওই দু'জনকে আটক করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বেশ কয়েকটি উৎস থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন এবং নিখোঁজ হওয়ার একটি নিদর্শন র‍্যাবকে অস্বীকার করার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।[20][21][22] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ অন্যান্য অধিকার সংস্থাগুলি এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।[23]

দমন-পীড়ন

২০১০ সাল থেকে শিবিরকে বারবার ক্র্যাকডাউন করে টার্গেট করা হয়েছে।[24] আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে, জনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং পুলিশে হামলা বন্ধ করা জরুরি; কিন্তু অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদেরকে রাজনৈতিক ক্র্যাকডাউন হিসাবে দেখছে।[25]

তথ্যসূত্র

Template:সূত্র তালিকা

বহিঃসংযোগ

বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন বিষয়শ্রেণী:১৯৭৭-এ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ ভিত্তিক ইসলামি সংগঠন
  1. Template:বই উদ্ধৃতি
  2. Bangladesh Genocide Archive | Collaborators and War Criminals
  3. 3.0 3.1 Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  4. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  5. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  6. http://www.abparty.org/ জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গঠনে নবগঠিত দল আমার বাংলাদেশ পার্টির প্রধান আহ্বায়ক
  7. https://www.campustimes.press/public/index.php/article/students-politics/2452
  8. Template:সংবাদ উদ্ধৃতি
  9. Template:সংবাদ উদ্ধৃতি
  10. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  11. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  12. Template:বই উদ্ধৃতি
  13. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  14. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  15. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  16. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  17. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  18. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  19. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  20. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  21. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  22. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  23. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি
  24. Template:সাময়িকী উদ্ধৃতি
  25. Template:ওয়েব উদ্ধৃতি