Raja Saleh Mahmud Porosh
রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ জন্ম: ১৫ ডিসেম্বর ১৯৯৭ একজন বাংলাদেশী কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার। তার ডাকনাম "পরশ" পুরো নাম রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ, যার আসল পরিচিতি হলো সফটওয়্যার ব্যবসায়ী হিসেবে। তিনি পরশ নেটওয়ার্ক লিমিটেড, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং নিয়ন্ত্রক অংশীদার। বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা রাজা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন দুমকি আপতুননেছা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং দুমকি সরকারি জনতা কলেজ থেকে এইচএসসি শেষে করেন উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় এসে গ্রিন ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি শেষ করে। সৃজনশীল প্রতিভা দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা অফিসার,পরিচালকের দায়ীত্ব পালন করেন। বাবা-মায়ের বড় সন্তান রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ এবং তার ছোট দুই বোন রয়েছে। তার বাবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, তার মা একজন গৃহিণী। রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ পটুয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকাতে বেড়ে ওঠেন বর্তমানে রাজশাহীতে থাকছেন, তার চিন্তাভাবনা প্রযুক্তি নিয়ে ছোট সময় থেকেই প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বিশ্বকে বড় কিছু দেওয়ার চেষ্টা ও উদ্যোগ। তার চিন্তা ভাবনার প্রতি তার পরিবারের সব সময় সম্পূর্ণ সাপোর্ট ছিল এবং সম্পূর্ণ সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। এবং তাকে গ্রামের মানুষ ইঞ্জিনিয়ার অথবা বিজ্ঞানী বলে ডাকে।
Contents
জীবনী
রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ ছিলেন। তার সর্বপ্রথম আবিষ্কার ছিল বাড়ির আঙিনা মাটির নিচ থেকে গ্যাস উত্তোলন, এই নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে তাকে বিজ্ঞানী হিসেবে ডাকা হয়। এবং তিনি বঙ্গবন্ধু থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। তার সব থেকে প্রিয় হলো বাস গাড়ি ভ্রমণ করা এক জেলা থেকে অন্য জেলা, তিনি গাড়িতে করে অনেক দূর যেতে পছন্দ করেন। বর্তমানে তিনি বিবাহিত নন।
পরিবার
বাবা: রাজা সেলিম, প্রধান শিক্ষক মা: সুলতানা পারভীন মায়া, গৃহিণী বোন: সাদিয়া সুলতানা হাফসা বোন: জামিলা সুলতানা লোপা
কর্মজীবন
রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ ২০১৫ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করে রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ, ফ্রিল্যান্সিং ভিতরে তার কাজ ছিল ওয়েবসাইট তৈরি করা সফটওয়্যার তৈরি করা স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথ ভাড়া করে দেওয়া ইত্যাদি। তিনি বঙ্গবন্ধু থিয়েটার নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন, এই থিয়েটারের প্রধান উৎস ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক নাট্য মঞ্চ করা করা এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ভিত্তিক চলচ্চিত্র করা। অর্থনৈতিক সংকট থাকার কারণে বঙ্গবন্ধু থিয়েটার নিয়ে সামনে আগাতে পারেনি রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ, তবে বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে ৬ জেলা ২০১৬ সালে সফল মঞ্চ নাট্য হয়, চলচ্চিত্রের জন্য ৩০ কোটি টাকা বাজেট হওয়ার কারণে কোন প্রযোজক বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্রের জন্য এগিয়ে আসে নাই। অন্য দিক থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই আইপিভিশন লিমিটেড কোম্পানিতে সফটওয়্যার ডেভেলপার চাকরি পান তাদের রিং আইডি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিপার্টমেন্ট ২০১৯ সাল পর্যন্ত জব করেন। চাকরি ছেড়ে নিজে সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান করেন পরশ নেটওয়ার্ক লিমিটেড। তিনি বেকার তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন এবং বেকার তরুণ তরুণীরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে বাংলাদেশ থেকে, রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ মাধ্যমে দশ হাজার তরুণ তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক রাজশাহীতে রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ ফ্রিল্যান্সারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যার নাম রাখা হয়েছে পরশ ওয়ার্ক।
১৩ই এপ্রিল ২০২১ সালে দেশের প্রথম ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম "আই পরশ" যাত্রা শুরু করে তবে এর কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। সিঙ্গাপুর এবং আমেরিকাতে "আই পরশ" প্রতিষ্ঠানের ডাটা সেন্টার না হওয়া পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে মার্কেটে যাত্রার শুরু করবে না। যত দ্রুত সম্ভব "আই পরশ" আমেরিকা থেকে কার্যক্রম করার জন্য চেষ্টা চলছে। এতেকরে বাংলার অর্থনীতি বৃদ্ধিসহ নিজ দেশীয় অর্থদেশে রেখে বেকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক আয় বারবে।
প্রযুক্তিতে আগ্রহ
রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ ছোটবেলা থেকেই প্রযুক্তিতে আগ্রহী ছিলেন। তিনি বাড়ির আঙিনায় মাটির নিচ থেকে গ্যাস উত্তোলনের একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি স্থানীয় পর্যায়ে "বিজ্ঞানী" হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করেন এবং ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার, এবং স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথ তৈরির কাজ করেন। ২০১৯ সালে তিনি নিজেই একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
বিশেষ অবদান
১। বেকার তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি। ২। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তরুণদের সহায়তা। ৩। দেশের প্রথম ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম "আই পরশ" প্রতিষ্ঠা। রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ বেকার তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দশ হাজার তরুণ তরুণীকে ফ্রিল্যান্সিং কাজের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এছাড়াও, তিনি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তরুণদের সহায়তা করেছেন। তিনি দেশের প্রথম ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম "আই পরশ" প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের তরুণদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
রাজা সালেহ মাহমুদ পরশের প্রযুক্তিতে আগ্রহ
রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ প্রযুক্তিতে গভীরভাবে আগ্রহী। তিনি মনে করেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব। তিনি প্রযুক্তির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা, অর্থনীতির উন্নতি করা, এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন করা সম্ভব বলে মনে করেন।
উপসংহার
রাজা সালেহ মাহমুদ পরশ একজন সফল উদ্যোক্তা এবং প্রযুক্তিবিদ। তিনি তার কর্মজীবনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি বেকার তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য কাজ করছেন।